সর্বশেষ

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রস টেলরের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন: সামোয়ার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে

রস টেলরের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন: সামোয়ার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক রস টেলর আবার মাঠে ফিরছেন। তবে এবার তিনি নিউজিল্যান্ডের নয়, তার মায়ের দেশ সামোয়ার হয়ে খেলবেন। ওমানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাইপর্বে সামোয়ার ১৫ সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। দলটির নেতৃত্ব দেবেন ক্যালেব জাসমাত।

৪১ বছর বয়সী টেলর শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “এটা এখন আনুষ্ঠানিক। আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি নীল জার্সি পরে সামোয়ার হয়ে খেলতে যাচ্ছি। এটা শুধু আমার ভালোবাসার খেলায় ফেরা নয়, বরং আমার শিকড়, সংস্কৃতি, গ্রাম আর পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করার বিশাল গৌরব। আমি দলে যোগ দিতে, মাঠে ও মাঠের বাইরে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে এবং ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।”

টেলরের মা সামোয়ান বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার সামোয়ার পাসপোর্ট রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলার পর তিন বছরের ‘কুলিং অফ’ সময় পার হওয়ায় তিনি সামোয়ার হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনি ১১২টি টেস্ট, ২৩৬টি ওয়ানডে এবং ১০২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তিন ফরম্যাটে তার রান যথাক্রমে ৭,৬৮৩, ৮,৬০৭ এবং ১,৯০৯। নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে তিনি ক্যারিয়ার শেষ করেন।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০২০ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ ম্যাচ খেললেও তিনি এখনো নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

সামোয়ার দলে টেলরই একমাত্র তারকা নন। অকল্যান্ডের হয়ে খেলা ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার শন সোলিয়াকেও দলে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে দলের ব্যাটিং লাইনআপ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দলে আছেন দারিউস ভিসারও, যিনি ২০২৪ সালে ভানুয়াতুর নালিন নিপিকোর এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৯ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন।

বাছাইপর্বে সামোয়ার প্রতিপক্ষ হবে ওমান, নেপাল, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে তাদের সঙ্গী হবে পাপুয়া নিউ গিনি ও জাপান। টুর্নামেন্টে নয়টি দল তিনটি গ্রুপে বিভক্ত, যেখানে সামোয়া রয়েছে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার সিক্সে উঠবে, এবং সেখান থেকে শীর্ষ তিনটি দল ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে।

মেসির বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ: ৫০/৫০ সম্ভাবনা, শরীরই বড় প্রশ্ন

মেসির বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ: ৫০/৫০ সম্ভাবনা, শরীরই বড় প্রশ্ন

 
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ছিল আবেগে ভরপুর। লিওনেল মেসি আগেই বলেছিলেন, এই ম্যাচে তিনি নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত তাই-ই হলো। জোড়া গোল করে তিনি আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু এই জয়ের পর তিনি যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন, তা সমর্থকদের মনে উৎকণ্ঠা জাগাচ্ছে—২০২৬ বিশ্বকাপে কি মেসিকে আর দেখা যাবে?

মেসির কথায়, আগামী বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা এখনও ‘৫০/৫০’। তিনি বলেন, “আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।” ৩৮ বছর বয়সে মেসির শরীর এখন তার ইচ্ছার সঙ্গে পুরোপুরি সায় দিচ্ছে না। এটিই তার সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলছে।

পরিসংখ্যানে বিষয়টি আরও স্পষ্ট। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে মেসির ফিটনেসে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত তিন বছরে চোটের কারণে তাকে ১৫০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এবং ১৭ দিনের বাড়তি বিশ্রাম নিতে হয়েছে। অথচ ২০১৮ বিশ্বকাপের আগের চক্রে এমন সমস্যায় তিনি মাত্র ৭৬ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। এই শারীরিক সমস্যার কারণেই মেসি এখনই বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান না।

তিনি বলেন, “আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়।”

মেসি এখন প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। তিনি জানান, “প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে খেলে আমি মৌসুমটা শেষ করতে চাই। এরপর প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি আছে, তারপরও ছয় মাস সময় বাকি থাকবে। তো দেখা যাক কেমন অনুভব করি। আশা করছি, মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুমটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব, এরপর ২০২৬ সালে একটা ভালো প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে পারব। তারপর নাহয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”

আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বাধিক ম্যাচ খেলা এই কিংবদন্তি ২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ফাইনালে হারের বেদনা পেরিয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে তিনি স্বপ্নের শিরোপা জিতেছেন। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে তিনি মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীন তিনি। সমর্থকদের জন্য এই অপেক্ষা যেন রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির খেলা নিয়ে যা জানা গেল

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির খেলা নিয়ে যা জানা গেল

ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। দল জয় পেয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। বাছাইপর্বে অবশ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আরো একটি ম্যাচ বাকি আছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় ইকুয়েডরের মাঠে সেই ম্যাচ খেলতে নামবে আলবিসেলেস্তেরা।

এই ম্যাচে মেসি খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘আমি লিও’র সঙ্গে কথা বলেছি। সে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলেছে–আমি ইনজুরি থেকে ফিরেছি। পুরো ফিট হয়ে ওঠার জন্য ভ্রমণ এবং পরবর্তী ম্যাচ এড়াতে চাই। আমরা এমএলএসে খেলছি, সেটাই লক্ষ্য এখন। আশা করি এর ভেতর সেরে উঠব।’  সর্বশেষ এক মাসে পাওয়া শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে মেসি জানিয়েছেন, ‘চোটের কারণে আমাকে ১৫ দিন দাঁড়িয়েই (কম দৌড়ানো অর্থে) কাটাতে হয়েছে, গতি কমে গিয়েছিল, আবার স্বাভাবিক অনুভব করছিলাম না…সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ আছে।

আশা করি বছরের শেষটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব এবং তারপর প্রি-সিজন ভালোভাবে শুরু করব।’   আরও পড়ুন ঝর্ণার সাথে গানের দিনও শেষ, তবু মেসির মনে স্রেফ সুখেরই রেশ ঝর্ণার সাথে গানের দিনও শেষ, তবু মেসির মনে স্রেফ সুখেরই রেশ এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, ‘সে ইকুয়েডরে ভ্রমণ করবে না। সে ক্লান্ত। আসলে আমার উচিত ছিল তাকে আগে উঠিয়ে নেওয়া। কিন্তু তার খেলার আবেগ ছিল এবং আমরা আগেই পুরো ম্যাচ খেলানোর ব্যাপারে কথা বলেছিলাম, তাই মাঠে থেকে গেছে। তার ওপর চাপ বেড়ে গেছে। ইকুয়েডরে যাচ্ছে না। প্রাপ্য বিশ্রামটা তাকে পরিবারকে নিয়েই কাটাতে হবে।’

 এদিকে মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাটা এখনো ফিফটি-ফিফটি। আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ভাষায়, ‘আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।’  ‘আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়’-যোগ করেন মেসি।

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আর্জেন্টিনার মাটিতে মেসির শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ: এক যুগের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসছে আলবিসেলেস্তেরা

আর্জেন্টিনার মাটিতে মেসির শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ: এক যুগের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসছে আলবিসেলেস্তেরা

আর্জেন্টিনার মাটিতে লিওনেল মেসির হয়ে শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ—শুধু কথাটা উচ্চারণ করাই যেন কষ্টকর ভক্তদের কাছে। কাল ভোরে বুয়েনস আইরেসের ঐতিহাসিক মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছেন আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক। আর সেই ম্যাচ দিয়েই শেষ হতে চলেছে দেশের মাটিতে মেসির অফিসিয়াল ম্যাচ যাত্রা।

বিদায়ের প্রাক্কালে আবেগ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দলে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম TYC Sports-এর একটি ভিডিওতে ধরা পড়েছে সতীর্থদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া। মেসির দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও আস্থা অর্জনকারী দুই ফুটবলার আঞ্জেল ডি মারিয়া ও রদ্রিগো ডি পল প্রকাশ করেছেন নিজেদের অনুভব।

ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে ডি পল লিখেছেন কিছু না বলেই অনেক কিছু। অন্যদিকে ডি মারিয়া দিয়েছেন একটি কান্নার ইমোজি—যার মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে হাজারো শব্দ। যদিও ডি মারিয়া আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন, তবুও এই বিদায় তার জন্যও এক আবেগঘন মুহূর্ত।

মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা শুধু নয়, তার পুরো পরিবারও থাকবেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে—স্ত্রী আন্তোনেলা, সন্তানরা, ভাইবোন, বাবা–মা ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেসি নিজেই আগেই জানিয়েছিলেন, "এটা আমার জন্য খুব বিশেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। হয়তো এরপর কোনো প্রীতি ম্যাচ থাকতে পারে, তবে অফিসিয়াল ম্যাচ এটাই শেষ।"

ডি মারিয়া ও ডি পলের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক কেবল মাঠের নয়, তা ছড়িয়ে গেছে গভীর বন্ধুত্বে। এই ত্রয়ী জিতেছেন বিশ্বকাপ ২০২২, কোপা আমেরিকা ২০২১ ও ২০২৪, এবং ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফাইনালিসিমার শিরোপাও।

মেসির দেশের মাটিতে পরিসংখ্যানও কিংবদন্তির মতো—৪৯ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল, অ্যাসিস্ট ১৯টি। সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন বলিভিয়ার বিপক্ষে (৭টি), এরপর উরুগুয়ে (৫) ও ইকুয়েডরের (৪) বিপক্ষে।

কাল চিলির রেফারি পিয়েরো মাজ্জার শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে একটি যুগের।
তবে মেসির রেখে যাওয়া স্মৃতি, তার জাদুকরী গোল, শিরোপা আর অনন্য নেতৃত্ব বেঁচে থাকবে কোটি কোটি আর্জেন্টাইন ও বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে।

বিসিসিআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন শচীন? জল্পনায় সরগরম ক্রিকেট মহল

বিসিসিআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন শচীন? জল্পনায় সরগরম ক্রিকেট মহল

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তনের আগে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে—কে হবেন রজার বিনির উত্তরসূরি? বিভিন্ন সূত্র বলছে, বোর্ড এবার এমন একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের হাতে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তুলে দিতে চায়, যিনি শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকেও অনন্য। আর এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচনায় শচীন টেন্ডুলকারের নাম।

২০২২ সালের অক্টোবরে সৌরভ গাঙ্গুলির স্থলাভিষিক্ত হয়ে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রজার বিনি। ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। তবে বিসিসিআইয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, ৭০ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে পুনরায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এই পদে শচীন টেন্ডুলকারকে আনতে আগ্রহী। এমনকি শচীনকে বোঝানোর দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়েই মিলতে পারে চূড়ান্ত ঘোষণা।

বোর্ডের একাংশের মতে, এই পদে এমন একজন প্রভাবশালী ও সম্মানিত ক্রিকেটার দরকার, যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ব্র্যান্ড আইকন’। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন সফল অধিনায়ক, রজার বিনি ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য—এবার বোর্ড চাইছে সর্বকালের সেরা একজন কিংবদন্তিকে প্রেসিডেন্টের চেয়ার দিতে।

তবে এখনো শচীন টেন্ডুলকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেননি। কারণ, বর্তমানে তিনি একাধিক বিজ্ঞাপনচুক্তির সঙ্গে যুক্ত, যা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে ছাড়তে হবে। যদিও জয় শাহর সঙ্গে শচীনের সম্পর্ক বরাবরই ঘনিষ্ঠ, তাই বোর্ডের অভ্যন্তরে অনেকেই আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত ‘লিটল মাস্টার’ রাজি হবেন।

এখন দেখার বিষয়, শচীন শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন কি না। আর তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত।

লিটন দাসের দুর্দান্ত ফর্মে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড উৎসব

লিটন দাসের দুর্দান্ত ফর্মে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড উৎসব

 
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে বাংলাদেশ পেয়েছে স্বস্তির জয়। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আর এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যাঁর, তিনি লিটন দাস। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফর্ম করে হয়েছেন সিরিজ সেরা, সঙ্গে গড়েছেন একাধিক রেকর্ডও।

সিরিজে লিটনের মোট রান ১৪৫। প্রথম ও শেষ ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে তিনি নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ফিফটির সংখ্যা নিয়ে গেছেন ১৪তে। এই সংখ্যাই এখন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। এতদিন এই রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের দখলে, যার ফিফটি সংখ্যা ছিল ১৩টি। এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছেন লিটন।

শেষ ম্যাচে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে লিটন ছুঁয়েছেন আরও একটি রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক এখন তিনিও। তার ছক্কার সংখ্যা এখন ৩১টি, সমান সংখ্যক ছক্কা রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও।

অধিনায়ক হিসেবেও নজর কাড়ছেন লিটন। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছেন তিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে। দেশের ইতিহাসে আগে এমন কীর্তি আর কোনো অধিনায়কের নেই।

তবে রেকর্ড নিয়ে খুব একটা ভাবেন না লিটন দাস। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,
‘আমি কখনও রেকর্ডের জন্য খেলি না। যদি রেকর্ডের কথা চিন্তা করতাম... আমার অনেক ফিফটি মিস গিয়েছে অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। যদি আমি রেকর্ডের কথা চিন্তা করতাম, ওই সময় হয়তো নিজেকে সময় দিয়ে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করতাম।’

এশিয়া কাপের আগে এমন ফর্মে থাকা লিটনের ব্যাটিং নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের জন্য বড় স্বস্তির খবর। আগের সিরিজে যেখানে তার ব্যাট হাসছিল না, সেখানে এই সিরিজে যেন নিজের সেরা চেহারায় ফিরেছেন তিনি। এখন শুধু এই ছন্দ ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ।

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মেসির শেষ ম্যাচ: আর্জেন্টিনার মাটিতে আবেগময় বিদায়ের সম্ভাবনা

মেসির শেষ ম্যাচ: আর্জেন্টিনার মাটিতে আবেগময় বিদায়ের সম্ভাবনা

ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার এখন গোধূলিলগ্নে। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। বুয়েনস এইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচটি জাতীয় দলের হয়ে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসির শেষ ম্যাচ। এটি আর্জেন্টিনার জার্সিতে তাঁর দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচও হতে পারে। এই সম্ভাবনা আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মনে আবেগের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেকের চোখ ভিজে উঠছে।

আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও এই আবেগের অংশ। গত রাতে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “মেসির মতো কাউকে কখনো পাওয়া সম্ভব নয়।” মেসির সঙ্গে একসময় সতীর্থ হিসেবে খেলা স্কালোনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, “ওর সঙ্গে খেলা, শুধু বলটা ওকে পাস দেওয়াটাই আমার কাছে বিশেষ ছিল। বিশ্বকাপে ওর সঙ্গে থাকা আর ওকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। আগামীকাল একটি সুন্দর ও আবেগময় দিন হবে। তবে আমি আশা করি, এটি আর্জেন্টিনায় ওর শেষ ম্যাচ হবে না। আমরা চাই ও চাইলে আরেকটি ম্যাচ খেলুক, কারণ এটা ওর প্রাপ্য।”

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি হালকা করতে স্কালোনি মজা করে বলেন, “আপনি কি কাঁদছেন? এটা তো আমার উদ্দেশ্য ছিল না।” জবাবে সাংবাদিক বলেন, “আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ উপহার দিয়েছেন।” এ কথায় স্কালোনির চোখও ভিজে যায়। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, মেসি তাঁর জীবনে ও কোচিং ক্যারিয়ারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৬ বিশ্বকাপের সময় মেসির বয়স ৩৯ পেরিয়ে যাবে। এরপর তিনি আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মেসির মতো আর কাউকে পাওয়া যাবে কি? স্কালোনির উত্তর, “আর্জেন্টিনা বা বিশ্ব ফুটবলে মেসির উত্তরাধিকারী? না, এমন কেউ হবে না। হয়তো কয়েকজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় আসবে, যারা একটি যুগকে সংজ্ঞায়িত করবে। কিন্তু এত দিন ধরে মেসি যা করেছে, তা অতুলনীয়। আমি প্রায় নিশ্চিত, ওর মতো কাউকে আর দেখা যাবে না।”

২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৩ ম্যাচে ১১২ গোল করেছেন। তিনি জিতেছেন চারটি ট্রফি—২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা, ২০২২ ফিনালিসিমা এবং ২০২২ বিশ্বকাপ। এই অর্জন তাঁকে ফুটবলের অমরত্বের স্বাদ দিয়েছে।